সাভারে জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নের দাবিতে আপ বাংলাদেশের লিফলেট বিতরণ

জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, শহীদ ও আহতদের পরিবারের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, ফ্যাসিবাদী সরকারের বিচার দাবি, গুম-খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যার তদন্তসহ বিভিন্ন দাবিতে সাভারে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করেছে ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ)।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা সাভারের বিভিন্ন এলাকায় এই কর্মসূচি পালন করেন।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য বদরে আলম শাহীন। তিনি জানান, “গত জুন মাসজুড়ে আমরা জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে ১৬টি সিরিজ আলোচনা সভা করেছি। জুলাই মাস জুড়েই সারাদেশে গণসংযোগ চলছে। তারই অংশ হিসেবে আজ সাভারেও গণসংযোগ ও প্রচার চালানো হলো।”
তিনি আরও বলেন, “সরকারকে অবিলম্বে জুলাই ঘোষণাপত্র ও জুলাই সনদ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করতে হবে এবং তা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আহতদের সুচিকিৎসা এবং পরিবারকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। যারা দলগতভাবে গণহত্যা ও অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিচার করতে হবে। এজন্য একটি ফাইন্যান্সিয়াল ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে।”
সরকারের তরফ থেকে ঘোষিত জুলাই ড্রাফট সম্পর্কে তিনি বলেন, “গতকাল যে ড্রাফট প্রকাশ হয়েছে তা একেবারেই অস্পষ্ট ও অসম্পূর্ণ। বিডিআর হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বরে গণহত্যা, সাইদী রায়ের পর সহিংসতা, ২১ সালের মোদী-বিরোধী আন্দোলনে হত্যাকাণ্ড—এই স্পষ্ট ঘটনাগুলোর কোনো সুনির্দিষ্ট উল্লেখ নেই। এমনকি, ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের সুনির্দিষ্ট দিনপঞ্জিও অনুপস্থিত।”
তিনি বলেন, “১৪ জুলাই নারীদের হল থেকে বেরিয়ে আসা, ১৭ তারিখ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণ, ১৮-১৯ জুলাই স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ছাত্রদের সক্রিয় প্রতিরোধ—এই ঘটনাগুলো আলাদা করে উল্লেখ জরুরি। একইসাথে বাংলা ব্লকেড, কমপ্লিট শাটডাউন, রিমেম্বারিং আওয়ার হিরোজ, লং মার্চ টু ঢাকা—এসব কর্মসূচি ঘোষণাপত্রে থাকা উচিত।”
সংগঠনের পক্ষ থেকে তিনি আরও বলেন, “দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও দখলবাজি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। আমরা মানুষের কাছে যাচ্ছি, তাদের কথা শুনছি, এবং দেখছি—তারা আমাদের দাবির সঙ্গে একমত। সবাই যখন নির্বাচনী রাজনীতিতে ব্যস্ত, তখন আমরা মানুষের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলো নিয়ে মাঠে নেমেছি। জুলাই প্রশ্নে আপ বাংলাদেশ আপসহীন থাকবে।”
What's Your Reaction?






