ফরিদপুরে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে ৭ জেলেকে কারাদণ্ড

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় ইলিশের প্রজনন মৌসুমে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে মাছ ধরার অপরাধে ৭ জেলেকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাতে পরিচালিত এ অভিযানে প্রায় ৫ হাজার মিটার অবৈধ জাল জব্দ করে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
সদরপুর উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগের যৌথ উদ্যোগে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সদরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জাকিয়া সুলতানা এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রুবানা তানজিন। তাদের সঙ্গে ছিলেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান, থানা পুলিশ ও আনসার সদস্যরা।
সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত পদ্মা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে সারারাত ধরে এ অভিযান চলে। এ সময় অবৈধভাবে ইলিশ শিকারের দায়ে ৭ জেলেকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন, ১৯৫০ এর আওতায় প্রত্যেককে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত জেলেরা হলেন হযরত ফরাজী (২২), পিতা ঠান্ডু ফরাজী; মামুন হাওলাদার (৩০), পিতা আলমগীর হাওলাদার; মো. নর-ই-আলম (১৯), পিতা আ. রহিম শেখ; সালাম খান (২৭), পিতা হালিম খান; সাগর (২০), পিতা কালাম; মো. ফারুক (৩৮), পিতা সাহেদ আলী বেপারি এবং ঠান্ডু (৩৯), পিতা হারুন হাওলাদার।
অভিযান প্রসঙ্গে ইউএনও জাকিয়া সুলতানা বলেন, "ইলিশের প্রজনন মৌসুমে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরা অত্যন্ত দুঃখজনক। এতে ইলিশের উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।" তিনি আরও জানান, জনস্বার্থে এবং দেশের মৎস্য সম্পদ রক্ষায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। জব্দকৃত বিপুল পরিমাণ জাল জনসম্মুখে পুড়িয়ে ফেলা হয়।
উল্লেখ্য, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম উপলক্ষে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সময় পর্যন্ত নদীতে সব ধরনের মাছ ধরা, পরিবহন, বাজারজাতকরণ ও মজুত নিষিদ্ধ। এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।
What's Your Reaction?






