কাউখালীতে নদীর চর থেকে অজ্ঞাত ব্যাক্তির মরদেহ উদ্ধার

পিরোজপুরের কাউখালীতে সন্ধ্যা নদীর নির্জন চর থেকে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় এলাকাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার সুবিদপুর গ্রামের বাদামতলা এলাকার চর থেকে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নির্মমভাবে খুন করে লাশ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। এখন পর্যন্ত নিহত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি, যা এই মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য আরও ঘনীভূত করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যার পর স্থানীয় বাসিন্দারা নদীতে একটি লাশ ভাসতে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং দ্রুত পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে কাউখালী থানা পুলিশ, নৌ পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের একটি যৌথ দল রাত ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। দীর্ঘ চেষ্টার পর চল্লিশোর্ধ্ব ওই ব্যক্তির অর্ধগলিত মরদেহটি নদী থেকে তীরে তোলা হয়।
পুলিশ জানায়, মরদেহের অবস্থা দেখে প্রাথমিকভাবে এটিকে হত্যাকাণ্ড বলে মনে হচ্ছে। দুর্বৃত্তরা অন্য কোথাও ওই ব্যক্তিকে হত্যা করে আলামত মুছে ফেলার উদ্দেশ্যে মরদেহটি সন্ধ্যা নদীতে ফেলে দিয়ে থাকতে পারে। জোয়ারের পানিতে লাশটি চরে ভেসে এসে আটকে যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই ঘটনায় কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সোলায়মান জানান, "গ্রামবাসীর দেওয়া খবরের ভিত্তিতে আমরা সন্ধ্যা নদীর চর থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহটি উদ্ধার করেছি। মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করার জন্য দেশের বিভিন্ন থানায় বার্তা পাঠানো হয়েছে।" তিনি আরও বলেন, "আজ বৃহস্পতিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ পিরোজপুর জেলা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। আমরা ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছি এবং এর পেছনের রহস্য উদঘাটনে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"
এদিকে, একটি শান্ত ও নিরিবিলি নদী এলাকায় এমন নৃশংস ঘটনার খবরে স্থানীয়দের মধ্যে ভয় ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। কে এই ব্যক্তি এবং কেন তাকে এমন নির্মমভাবে হত্যা করা হলো, তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। নিহত ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া গেলেই এই রহস্যের জট খুলবে বলে আশা করছে পুলিশ।
What's Your Reaction?






