তালবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছনা ও বিধি বহির্ভূত বরখাস্তের অভিযোগ

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার তালবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিলারা ইয়াসমিন জোয়াদ্দারকে বিধি বহির্ভূতভাবে সাময়িক বরখাস্ত ও বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দিয়ে লাঞ্ছনার অভিযোগ উঠেছে। ইএফটি সংক্রান্ত জটিলতা কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেছেন দিলারা ইয়াসমিন।
প্রধান শিক্ষক জানান, ১৫ এপ্রিল তিনি এসএসসি পরীক্ষার সহকারী কেন্দ্র সচিবের দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে কয়েকজন সহকারী শিক্ষক ও পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির যোগসাজশে তাঁর অফিস রুমে তালা লাগানো হয়। বিষয়টি জানিয়ে তিনি তাৎক্ষণিক মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) হস্তক্ষেপে তালা খুলে দেওয়ার আশ্বাস পান।
পরদিন ১৬ এপ্রিল আলোচনার উদ্দেশ্যে অফিস কক্ষে বসে থাকা অবস্থায় সহকারী শিক্ষক মহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে ১০-১৫ জন বহিরাগত সন্ত্রাসী হঠাৎ করে সেখানে ঢুকে তাঁকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। তাঁর মোবাইল ফোন, টাকা, ভ্যানিটি ব্যাগ ও অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন দিলারা ইয়াসমিন। তিনি জানান, তাঁকে জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করার চেষ্টা করা হয়। পরবর্তীতে পুলিশ ক্যাম্পে খবর দিলে ফোর্স এসে তাঁকে উদ্ধার করে।
প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ, ইএফটি বেতন ব্যবস্থা নবপ্রবর্তিত হওয়ায় শিক্ষকরা নিজেরাই তথ্য ইনপুট করেন। কিন্তু ভুল তথ্যের কারণে বেতন বন্ধ হলেও বিষয়টি নিয়ে তাঁকে দায়ী করে অযৌক্তিকভাবে উত্তেজনা সৃষ্টি করা হয়। এতে বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশ চরমভাবে বিঘ্নিত হয়।
২১ এপ্রিল ইউএনও সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হন। প্রধান শিক্ষকের দাবি, স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের চাপে তাঁকে বরখাস্তের সুপারিশ নিতে বাধ্য করা হয়।
২৪ এপ্রিল স্বাক্ষরিত ও ২৮ এপ্রিল প্রাপ্ত বরখাস্তের আদেশটিকে তিনি বিধি বহির্ভূত, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক আখ্যা দিয়ে এর সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
What's Your Reaction?






