খিয়াং নারীকে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে রুমায় বিক্ষোভ ও সমাবেশ

বান্দরবানের থানচি উপজেলায় চিংমা খিয়াং (২৯) নামে এক আদিবাসী নারীকে ধর্ষণ ও নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে রুমায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ মে) বিকাল ৩টায় রুমা আদিবাসী ছাত্র সমাজের উদ্যোগে রুমা বাজারের আওয়ামী লীগ অফিস প্রাঙ্গণ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে হরি মন্দির প্রাঙ্গণে গিয়ে সমাবেশে পরিণত হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রুমা সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মংমিন মার্মা। উপস্থাপনায় ছিলেন যুবনেতা মং এসিং মার্মা এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন উক্যচিং মার্মা।
বক্তব্য রাখেন আদিবাসী খিয়াং কল্যাণ সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি মংশৈপ্রু খিয়াং, বাংলাদেশ ত্রিপুরা ছাত্র ফোরামের রুমা উপজেলা শাখার সভাপতি রিপন ত্রিপুরা ও জন ত্রিপুরা।
বক্তারা চিংমা খিয়াং-এর হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
গত রোববার (৪ মে) সকালে থানচি উপজেলার তিন্দু ইউনিয়নের চিংমা খিয়াং জুমে ধান রোপণের জন্য যান। বিকেল পর্যন্ত ফিরে না আসায় পরিবার ও পাড়াবাসীরা খোঁজ শুরু করে। সোমবার (৫ মে) দুপুরে পাহাড়ের জঙ্গলে একটি নালায় তাঁর বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহে আঘাতের চিহ্ন, চোখ উপড়ে ফেলা ও রক্তাক্ত অবস্থা দেখা যায়, যা ধর্ষণ ও হত্যার আশঙ্কা জাগায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ঘটনার দিন চিংমা খিয়াং কিছু দূরে তিনজন অপরিচিত পুরুষকে দেখতে পেয়ে বাড়ি ফিরে আসেন এবং তা পরিবারকে জানান। ঘটনার নৃশংসতা ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে স্থানীয় জনগণ তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
তিন্দু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভাগ্যচন্দ্র ত্রিপুরা জানান, "এটি দলবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহত নারীর তিনটি সন্তান রয়েছে, যার মধ্যে একজন দেড় বছরের শিশু।"
সীমান্ত সড়ক নির্মাণে নিযুক্ত শ্রমিকদের কেউ এই ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। তারা দাবি করছেন, দ্রুত প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হোক।
What's Your Reaction?






