ডিভোর্সের পর সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা ও হত্যার হুমকির অভিযোগ

আশুলিয়ায় তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীর বিরুদ্ধে দেনমোহরের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি টাকা দাবি এবং টাকা না দিলে মিথ্যা মামলা ও হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন এক ব্যক্তি। এই ঘটনায় নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আশুলিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ভুক্তভোগী স্বামী মোহাম্মদ নুরুল হক (৪৬)।
ভুক্তভোগী নুরুল হক জানান, প্রায় দুই বছর আগে মাদারীপুরের নুরজাহান বেগমের (৪৫) সঙ্গে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক তার দ্বিতীয় বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই নুরজাহান তার অবাধ্য হয়ে চলতেন এবং ছোটখাটো বিষয় নিয়ে প্রতিনিয়ত ঝগড়া-বিবাদ করতেন। এমনকি প্রতিবেশীদের সাথেও অহেতুক বিবাদে জড়াতেন, যার কারণে নুরুল হককে প্রতি মাসে বাসা পরিবর্তন করতে হতো।
নুরুল হক বলেন, "এই বিষয়ে নুরজাহানের স্বজনদের কাছে বারবার অভিযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি, বরং তারা আমাকেই নানাভাবে হুমকি দিত। ঢাকায় বারবার বাসা পাল্টানো যে কতটা কষ্টের, তা ভুক্তভোগী ছাড়া কেউ বুঝবে না। এছাড়া আর্থিক ক্ষতি তো আছেই।"
তিনি অভিযোগ করেন, গত ১ মে, ২০২৫ তারিখে একটি ঝগড়ার পর নুরজাহান বাসা থেকে বেরিয়ে যান। পরে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি আর সংসার করবেন না বলে জানিয়ে দেন। নুরুল হক তার দেনমোহরের ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে চাইলে নুরজাহান তা নিতে অস্বীকার করেন এবং এক লক্ষ টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে তার নামে মিথ্যা মামলা দায়ের এবং হত্যার হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেন নুরুল হক।
অবশেষে বনিবনা না হওয়ায় গত ২৬ জুন, ২০২৫ তারিখে নুরুল হক নুরজাহানকে তালাক প্রদান করেন। তিনি বলেন, "নুরজাহান ও তার আত্মীয়-স্বজনরা খুব খারাপ প্রকৃতির লোক। আমি আশঙ্কা করছি, তারা যেকোনো সময় আমাকে খুন-জখমসহ বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে। আমি এই নারীর হাত থেকে মুক্তি চাই এবং আইনের কাছে সঠিক তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।"
এই বিষয়ে অভিযুক্ত নুরজাহান বেগমের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে সাভারের হেমায়েতপুরে থাকা তার এক আত্মীয়র সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ আশরাফুল ইসলাম জানান, "একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আইন সবার জন্য সমান এবং পুলিশ জনগণের সেবায় সব সময় নিয়োজিত।"
What's Your Reaction?






