অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদে অভিযান, জরিমানা ও ধ্বংস

What's Your Reaction?







সরাসরি আপনার ইনবক্সে সর্বশেষ খবর, আপডেট এবং বিশেষ অফার পেতে আমাদের গ্রাহক তালিকায় যোগ দিন
মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রথমবারের মতো নওগাঁ জেলায় শুরু হয়েছে অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ অভিযান। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দুপুরে রাণীনগর উপজেলায় দুটি অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দিয়েছে জেলা প্রশাসন, পাশাপাশি জরিমানাও করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট কাশিমপুর ইউনিয়নের চকমনু ও চকাদিন গ্রামে অবৈধ ইটভাটায় অভিযান চালায়। লাইসেন্সবিহীন ইট প্রস্তুত ও বিক্রয়ের দায়ে মেসার্স রাহিদ এন্টারপ্রাইজকে ২০ হাজার টাকা ও মেসার্স রিফাত ব্রিকসকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। স্কাভেটর দিয়ে উভয় ইটভাটার চুল্লি ভেঙে দেওয়া হয় এবং ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় আগুন নিভিয়ে কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।
অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাকিব বিন জামান প্রত্যয়, পরিবেশ অধিদপ্তর নওগাঁ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. নাজমুল হোসাইন। এছাড়া সেনাবাহিনী, আনসার ও ফায়ার সার্ভিসের তিনটি দল মোবাইল কোর্টে সহায়তা করে।
পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জেলায় মোট ১৬২টি ইটভাটা রয়েছে, যার মধ্যে ১৩৬টি অবৈধ। গত দুই দিনে ৩টি ইটভাটা ধ্বংস করা হয়েছে। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, কৃষিজমি, বন, পাহাড় ও জলাভূমির এক কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা স্থাপন অবৈধ। তবে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এসব নিয়ম অমান্য করে ইটভাটা পরিচালনা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (বাপা) নওগাঁ শাখার সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, "অবৈধ ইটভাটার কারণে পরিবেশ দূষণ, কৃষিজমির ক্ষতি ও মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। জেলা প্রশাসনের এ অভিযান প্রশংসনীয়, তবে এটি যেন মাঝপথে বন্ধ না হয়।"
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল জানান, "হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী অবৈধ ইটভাটাগুলো উচ্ছেদ করা হচ্ছে। কোনো প্রভাবশালী গোষ্ঠী প্রশাসনের এই কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। বাসযোগ্য পরিবেশ রক্ষায় এ ধরনের অভিযান চলবে।"
Apr 14, 2025 0 230
Apr 21, 2025 0 149
Apr 15, 2025 0 129
Apr 14, 2025 0 112
Apr 26, 2025 0 104
May 1, 2025 0 2
May 1, 2025 0 1
May 1, 2025 0 1
May 1, 2025 0 1
May 1, 2025 0 1
এই সাইট কুকিজ ব্যবহার করে. সাইটটি ব্রাউজ করার মাধ্যমে আপনি আমাদের কুকিজ ব্যবহারে সম্মত হচ্ছেন।