ফরিদপুরে নকল ওষুধ ও প্রসাধনী কারখানায় যৌথবাহিনীর অভিযান

ফরিদপুর শহরের পশ্চিম খাবাসপুর এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় গড়ে ওঠা অবৈধ ওষুধ ও প্রসাধনী তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়েছে যৌথবাহিনী। রবিবার (৬ জুলাই) বিকেলে অভিযানকালে বিপুল পরিমাণ নকল পণ্য ও সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। একইসঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে এক বিক্রয় প্রতিনিধিকে একমাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, বিএসটিআই লোগো ও নামি কোম্পানির মোড়ক ব্যবহার করে ওষুধ, শ্যাম্পু, ফেসওয়াশ, শিশুদের সাবানসহ বিভিন্ন প্রসাধনী সামগ্রী প্রস্তুত ও বাজারজাত করা হচ্ছিলো। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিক্রয় প্রতিনিধি রিয়াজ শিকদার (২৬) কে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯-এর ৪৫ ধারায় একমাসের কারাদণ্ড দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফজলে রাব্বি।
অভিযানে সেনাবাহিনী, কোতোয়ালি থানা পুলিশ, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ জেলা ড্রাগ সুপার মো. রোকনুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। অভিযান চলাকালে কারখানার মূল মালিক মাহফুজুর রহমান শিপন (৩৫) পালিয়ে যান। তিনি সদরপুর উপজেলার বেপারীডাঙ্গী এলাকার বাসিন্দা এবং নয় মাস আগে বাড়িটি ভাড়া নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেন।
জেলা ড্রাগ সুপার জানান, কারখানাটি কোনো ধরনের বৈধ অনুমোদন ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছিলো। লাইসেন্স না থাকা এবং ওষুধ প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়া উৎপাদন করায় প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। জব্দকৃত পণ্যের নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠিয়ে গুণগত মান যাচাই করা হবে বলে জানান তিনি।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফজলে রাব্বি আরও জানান, কারখানার মালিকের বিরুদ্ধে ওষুধ ও কসমেটিকস আইন, ২০২৩-এর ১৪(১) ধারায় মামলা দায়েরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
স্থানীয়রা জানান, গোপনে চালানো এই কারখানায় ‘কিটোজেল’, ‘পারনিক্স’, ‘পারকিট’সহ নানা ভুয়া কোম্পানির মোড়কে নিম্নমানের পণ্য তৈরি করে বাজারজাত করা হতো।
এ ঘটনায় সাধারণ মানুষের মাঝে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে এবং তারা এমন কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কঠোর নজরদারির দাবি জানিয়েছেন।
What's Your Reaction?






