নওগাঁয় বিবাদমান জমি থেকে জোরপূর্বক ধান কর্তনের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

নওগাঁর আত্রাই উপজেলায় বিবাদমান জমি থেকে জোরপূর্বক ধান কর্তনের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক ভুক্তভোগী পরিবার। সোমবার (৫ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলার জয়সাড়া গ্রামের বাসিন্দা রিমা খাতুন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি দাবি করেন, বুজরুগ বোয়ালিয়া মৌজায় ৩.৯০ শতাংশ জমি তার দাদা থেকে পৈতৃক সূত্রে পাওয়া, যা দীর্ঘদিন ধরে তার বাবা আব্দুর রহিম খাঁন ভোগদখল করে আসছেন। তবে তার চাচা আব্দুস ছালাম খাঁন ১৯৮৪ সালের একটি দলিল দেখিয়ে দাবি করছেন, তাদের দাদা তাকে ওই জমির মধ্যে ২.৫৬ শতাংশ হেবা দিয়েছেন এবং তিনি তা পরে অন্যত্র বিক্রি করেন।
রিমা খাতুন বলেন, "আমাদের দাদা ১৯৮৩ সালেই মারা যান। অথচ তার মৃত্যুর পরের বছর যে হেবার দলিল তৈরি করা হয়েছে, তা স্পষ্টভাবেই জাল ও ভুয়া।" এ নিয়ে আদালতে মামলা হলে সেটি খারিজ হয়। তবে বর্তমানে তারা ওই হেবা দলিল বাতিলের জন্য নতুন একটি মামলা করেছেন, যা বিচারাধীন রয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, ওই জমিতে তারা ইরি-বোরো ধান রোপণ করলেও সম্প্রতি প্রতিপক্ষের লোকজন—জয়সাড়া গ্রামের আব্দুর রহমান (৫৫), আব্দুল মান্নান সরদার (৫০) ও মারুফ হোসেন (২৫)—প্রায় ২০-২৫ জন সহযোগী নিয়ে জোরপূর্বক জমির ধান কেটে নিয়ে যান। যার বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে ৫ লাখ টাকা।
ঘটনার পরপরই আত্রাই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। কিন্তু পুলিশ নিষেধ করা সত্ত্বেও প্রতিপক্ষরা সেই নির্দেশ অমান্য করে জোরপূর্বক ধান কর্তন করে বলে অভিযোগ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
রিমা খাতুন লিখিত বক্তব্যে ধান কর্তনের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে রিমা খাতুনের পিতা আব্দুর রহিম খাঁন, মা শহিদা বিবি, সাহেবগঞ্জ উত্তরপাড়া গ্রামের সোহাগ, শিবপুর গ্রামের রাব্বি এবং মির্জাপুর গ্রামের রানা হোসেনসহ স্থানীয় কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।
What's Your Reaction?






