রুমায় সেনাবাহিনী-কেএনএফ বন্দুকযুদ্ধে দুই সন্ত্রাসী নিহত, অস্ত্র-গুলিসহ বিপুল সরঞ্জাম উদ্ধার

বান্দরবানের রুমা উপজেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে কুকি-চীন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সশস্ত্র সদস্যদের গুলি বিনিময়ে কেএনএফ-এর এক নেতাসহ দুই জন নিহত এবং একজন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকাল ৬টার দিকে পাইন্দু ইউনিয়নের মুয়ালপি পাড়া ও পলি প্রাংসা পাড়ার মধ্যবর্তী তাইদাংমক এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই ওই পাহাড়ি এলাকায় কেএনএফ-এর সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা অবস্থান করছিল। নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে তারা গুলি ছুঁড়লে পাল্টা জবাবে দুই কেএনএফ সদস্য নিহত হন। আহত অবস্থায় আরও একজনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
সংঘর্ষস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তিনটি এসএমজি, একটি চাইনিজ রাইফেল, বিপুল পরিমাণ গুলি, গুলির পাউচ, সামরিক পোশাক, ওয়াকিটকি, মোবাইল ফোন ও কয়েক হাজার নগদ টাকা। সেনা সূত্রে ধারণা করা হচ্ছে, উদ্ধারকৃত চাইনিজ রাইফেলটি গত বছর ব্যাংক ডাকাতির সময় পুলিশের কাছ থেকে লুট হওয়া অস্ত্রগুলোর একটি।
জানা গেছে, কেএনএফ-এর সশস্ত্র শাখা কেএনএ (কুকি-চীন ন্যাশনাল আর্মি) ২০১৯ সালে মিয়ানমারের কাচিন স্টেটে প্রথম ব্যাচের সশস্ত্র প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করে। ২০২২ সালের আগস্টে ‘জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার’ জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়ায় র্যাবের নেতৃত্বে যৌথবাহিনী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ২ ও ৪ এপ্রিল কেএনএফ রুমা ও থানচি উপজেলার তিনটি ব্যাংক শাখায় ডাকাতি করে আনসার ও পুলিশের অস্ত্র লুট করে এবং ব্যাংক ব্যবস্থাপককে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করে। এরপর থেকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে কেএনএফ-এর সশস্ত্র সংঘাত বৃদ্ধি পায়।
এ পর্যন্ত যৌথ বাহিনীর অভিযানে সাত সেনাসদস্যসহ ২৫ জন কেএনএফ সদস্য নিহত হয়েছে। সম্প্রতি কেএনএফ-এর কথিত মেজর রোয়ালিন বম ও লালপেকতার বম সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন।
আজকের অভিযানে বন্দুকযুদ্ধে দুই সন্ত্রাসীর মৃত্যুর বিষয়ে সেনাবাহিনী বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় রুমা জোনে সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিং করে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
What's Your Reaction?






