ভুয়া সনদে আগৈলঝাড়ায় বিদ্যালয়ের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার অভিযোগ

সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি পদে নির্বাচিত হতে হলে প্রার্থীকে অবশ্যই স্নাতক (ডিগ্রি) পাস হতে হয়। কিন্তু সেই নিয়ম না মেনে বরিশাল শিক্ষাবোর্ডের অনুমোদনে আগৈলঝাড়ার মোল্লাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মেহেদী হাসান সুমন, যার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মোল্লাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি পদের জন্য পাঁচজন প্রার্থী আবেদন করেন। তবে স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় মেহেদী হাসান সুমনের নাম, তার আত্মীয় তুহিন হাওলাদার ও শিরিন সুলতানার নাম প্রস্তাবিত তালিকায় প্রধান শিক্ষক রঞ্জন অধিকারীর মাধ্যমে পাঠানো হয়। বাদ পড়েন অন্য যোগ্য প্রার্থী রমনি রঞ্জন সরকার ও রনি সরকার।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা অভিযোগ করে জানান, সুমনের জমা দেওয়া ডিগ্রি সনদ ভুয়া। তারা বলেন, “আমরা সরকারি নিয়ম মেনে ডিগ্রি সনদসহ আবেদন করেছি, কিন্তু আমাদের বাদ দিয়ে জাল সনদধারীকে সভাপতি করা হয়েছে।”
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রঞ্জন অধিকারী বলেন, “আমি প্রথমে প্রকৃত তিনজনের তালিকা দিয়েছিলাম। কিন্তু স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি চাপ প্রয়োগ করে নতুন তালিকা নিয়ে আসেন, যা আমাকে পাঠাতে বাধ্য করা হয়। সনদের সত্যতা যাচাই শিক্ষাবোর্ড ও ইউএনওর কাজ।”
অভিযুক্ত নবনির্বাচিত সভাপতি মেহেদী হাসান সুমন দাবি করেন, তিনি ২০১০ সালে সরকারি বাংলা কলেজ, ঢাকা থেকে সমাজবিজ্ঞানে পাস করেছেন এবং তার সনদ বৈধ।
এ বিষয়ে বরিশাল শিক্ষাবোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক মোঃ রফিকুল ইসলাম খান হেলাল বলেন, “ভুয়া সনদ দিয়ে সভাপতি হওয়ার সুযোগ নেই। অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারিহা তানজিন জানান, “আমি তাকে মূল সনদ নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছি। তিনি না আসলে নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যানকেও জানানো হয়েছে।”
What's Your Reaction?






