বন্ধুর বাসা থেকে ‘টাকা উদ্ধারের’ গুজব নিয়ে মুখ খুললেন"

সাংবাদিকতার নামে ব্যক্তি ও পেশাদারিত্বের মানহানির অভিযোগ তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ ঝাড়লেন সারজিস আলম। সোমবার (৭ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডি থেকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, কিছু মিডিয়া হাউজ মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য ছড়িয়ে সাংবাদিকতার ন্যূনতম নীতিমালাকেও অবজ্ঞা করছে।
সারজিস আলম অভিযোগ করেন, একটি ছবি ঘিরে অপপ্রচারের মাধ্যমে তাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা চলছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে—কিছু টাকা উদ্ধার করা হয়েছে এবং সেই অর্থ তার কোনো এক বন্ধুর বাসা থেকে পাওয়া গেছে—এমন দাবি করা হয়েছে। অথচ এ বিষয়ে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলেও দাবি করেন তিনি।
তিনি লেখেন, “ছবি দেখে মনে হচ্ছে সারজিস কোথাও থেকে অবৈধ টাকা অর্জন করেছে। এরপরে বন্ধুর বাসায় রেখেছে। সেই বন্ধুর বাসা থেকে এই টাকা উদ্ধার করা হয়েছে!” অথচ প্রকৃত সংবাদ হওয়া উচিত ছিল—এই তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও গুজব।
সারজিস বলেন, “কোথাকার কোন চোর, কিসের টাকা চুরি, যেসব সম্পর্কে আমার বিন্দুমাত্র ধারণা নাই, তাদের সাথে বন্ধুত্বের ট্যাগ লাগিয়ে, এরপর ছবি সংযুক্ত করে সাংবাদিকতার নামে যে ছ্যাচরামি করা হচ্ছে, তা ন্যূনতম সাংবাদিকতা নীতির মধ্যে পড়ে না।”
পোস্টে তিনি অভিযোগ করেন, অনেক সময় মিডিয়ার ফেসবুক পোস্টের কমেন্টে থাকা লিংকে খুব অল্প সংখ্যক মানুষই ঢুকে পড়ে মূল প্রতিবেদন পড়েন। ফলে বিভ্রান্তিকর হেডলাইন ও ছবি দেখে জনসাধারণ ভুল ধারণা করে ফেলে, যা ব্যক্তি ও পরিবারের জন্য চরম অপমানজনক।
পোস্টের শেষ দিকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে সারজিস লেখেন, “নাহলে আমাদেরও লেখা শুরু করতে হবে—‘শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী আমলে হাজারের অধিক বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে সন্তোষ শর্মার সম্পৃক্ততা সম্পর্কে যা জানা গেল...’ কিংবা ‘সারাদেশে বসুন্ধরা গ্রুপের হাজার কোটি টাকার অবৈধ জমি দখল, খুন এবং ধর্ষণ সম্পর্কে যা জানা গেল...’”
তিনি দাবি করেন, অপসাংবাদিকতা বন্ধ করে পেশাদারিত্ব বজায় রেখে কাজ করলেই সম্মানিত ও আপসহীন সাংবাদিকদের মর্যাদা রক্ষা সম্ভব হবে।
What's Your Reaction?






