শ্রীধাম শ্রী অঙ্গনে প্রভু জগবন্ধু সুন্দরের ১৫৫ তম আবির্ভাব তিথি উপলক্ষে মহোৎসব

ফরিদপুরের গোয়ালচামট এলাকায় অবস্থিত শ্রীধাম শ্রী অঙ্গনে গত ৫ মে থেকে শুরু হওয়া ধর্মীয় অনুষ্ঠানে হাজার হাজার ভক্তবৃন্দের সমাগম ঘটেছে। প্রভু জগবন্ধু সুন্দরের ১৫৫ তম আবির্ভাব তিথি উপলক্ষে আয়োজিত নয়দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে আগামীকাল মঙ্গলবার (১৩ মে) মহোৎসব, জলোকেলি ও কুঞ্চভঙ্গ মহোৎসবের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে।
সোমবার (১২ মে) দিনব্যাপী অষ্টকালীন লীলা কীর্তন পরিবেশন করা হয়, যা দর্শনার্থীদের মধ্যে গভীর আধ্যাত্মিক অনুভূতি সৃষ্টি করে। উৎসবের গুরুর পর থেকে নানা সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় সংগঠনগুলো ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ, বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা, পুষ্পান্ন বিতরণ, পানীয় জল বিতরণ এবং বস্ত্র বিতরণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। এসব কার্যক্রম বিকাল থেকে রাত ১১:০০ টা পর্যন্ত চলতে থাকে।
এছাড়াও, প্রায় ৫০টি স্থানীয় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ভক্তবৃন্দের মধ্যে প্রসাদ বিতরণে অংশগ্রহণ করেছে। স্থানীয়দের পাশাপাশি ফরিদপুরের বাইরে থেকেও বহু ভক্ত শ্রীধাম শ্রী অঙ্গনে উপস্থিত হয়েছেন। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিদেশ থেকেও বহু ভক্ত এতে অংশগ্রহণ করেছেন। ভক্তবৃন্দ জানান, "প্রভুর কৃপা লাভের জন্যই তারা এখানে এসেছেন।"
এদিকে, উৎসব চলাকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। তারা উৎসবের প্রথম দিন থেকেই মানুষের সেবায় নিবেদিত হয়ে কাজ করেছেন।
এছাড়া, শহরের মহিম স্কুলের মাঠে প্রতিবছরের মতো এবারও মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মেলায় বিভিন্ন ধরনের কুটির শিল্প, খাদ্য সামগ্রী, কসমেটিক সামগ্রী, শিশুদের বিনোদনের জন্য নাগরদোলা এবং গৃহস্থলী সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে। অংশগ্রহণকারী দোকানীরা জানিয়েছেন, তারা কাঙ্ক্ষিত বেচাকেনা করেছে।
প্রতিবছরই শ্রীধাম শ্রী অঙ্গনে প্রভু জগবন্ধু সুন্দরের আবির্ভাব তিথি উপলক্ষে এই মহোৎসবের আয়োজন করা হয়। ফরিদপুরের সর্বস্তরের জনগণ, পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী জেলার মানুষও এ উৎসবে অংশগ্রহণ করেন, যা ফরিদপুরের সবচেয়ে বড় মিলন মেলা হিসেবে অভিহিত হয়।
What's Your Reaction?






