লামা সড়কের পাশে ড্রেন না থাকায় জলবদ্ধতা, দুর্ভোগে ৫০ পরিবার

লামা শহরের প্রবেশমুখে প্রধান সড়কের গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা। এতে একদিকে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কোটি টাকার রাস্তা, তেমনি দুর্ভোগে পড়েছে অন্তত ৫০টি পরিবার।
সরেজমিনে দেখা গেছে, লাইনঝিরি থেকে কেন্দ্রীয় পৌর বাস টার্মিনাল পর্যন্ত বেশ কয়েকটি স্থানে ড্রেন ও কালভার্ট না থাকায় বৃষ্টির পানি সরাসরি সড়কের উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বর্ষার বৃষ্টিতে এসব স্থানে ৪ থেকে ৫ ফুট পর্যন্ত পানি জমে অর্ধশতাধিক বাড়িঘর জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।
বিএডিসি মসজিদের পুকুরের পাশ থেকে ‘দশ একর’ পয়েন্ট পর্যন্ত রাস্তায় গাইড ওয়াল না থাকায় কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। এসব এলাকায় সঠিকভাবে ড্রেন নির্মাণ না করায় রাস্তায় সৃষ্টি হয়েছে ক্ষয় ও ভাঙন। বিশেষজ্ঞদের মতে, মাত্র ৫০০ ফুট ড্রেন নির্মাণ করলেই যাত্রীদের ভোগান্তি কমবে এবং রাস্তার পাশের ঘরবাড়িগুলো জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা পাবে।
মধুঝিরি ফরেস্ট ডাকবাংলো থেকে শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতি পাঠাগার পর্যন্তও ড্রেন না থাকায় একই রকম ভাঙন দেখা দিয়েছে। নুনারঝিরি সড়কের মুখে কবরস্থানের পাশেও পানি জমে দীর্ঘস্থায়ী দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে, বান্দরবানের সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের লামা কার্যালয়ে প্রকৌশল বিভাগের কোনো কর্মকর্তা নিয়মিত উপস্থিত থাকেন না। নাইট গার্ড, ড্রাইভার ও পিয়নদের তদারকিতে চলছে প্রকল্পের কাজ। এতে কাজের গুণগত মান যেমন প্রশ্নবিদ্ধ, তেমনি কোনো কার্যকর মনিটরিংও হচ্ছে না।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে ৩ জুন (মঙ্গলবার) সকাল পৌনে ১২টায় লামা সার্কেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত এসডিই মুঠোফোনে বলেন, “আমরা খবর পেয়ে স্পটগুলো পরিদর্শন করে এসেছি। বৃষ্টি থামলে কিছু কাজ শুরু করা হবে।”
স্থানীয় বাসিন্দারা অবিলম্বে সড়কের পাশে ড্রেন নির্মাণ ও সওজ কার্যালয়ে দায়িত্বশীল প্রকৌশলী নিযুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন। নইলে আগামী মৌসুমে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা আরও ভয়াবহ হবে বলে আশঙ্কা তাদের।
What's Your Reaction?






