আখাউড়ায় এমসি বাণিজ্যের অভিযোগে ‘মালি’ সোহেল মিয়া বদলী

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল সার্টিফিকেট (এমসি) বাণিজ্যের অভিযোগে ‘মালি’ পদে কর্মরত সোহেল মিয়াকে বদলী করা হয়েছে। বুধবার (২১ মে) জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ নোমান মিয়ার নির্দেশে তাকে আখাউড়া থেকে বদলী করে আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ হিমেল খান জানান, “বদলির আদেশ পাওয়ার পর দুপুরেই তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।”
সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের শেষ দিকে আখাউড়া পৌর শহরের হেলাল মিয়া নামের এক ব্যক্তি তার স্ত্রী ও কন্যাসহ তিনজনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যান। মামলার প্রয়োজনে মেডিকেল সার্টিফিকেট নিতে গেলে মালি সোহেল মিয়া দ্রুত সার্টিফিকেট করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নেন। কিন্তু পরে তিনি সেই সার্টিফিকেট দিতে ব্যর্থ হন এবং টাকা ফেরতও দেননি। এরপর ভুক্তভোগী হেলাল মিয়া লিখিতভাবে অভিযোগ করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কাছে।
অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি জেলা সিভিল সার্জনের দপ্তরে পাঠানো হলে তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। এরপরই সোহেল মিয়াকে বদলী করা হয় বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডাঃ নোমান মিয়া।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সালের ২২ জানুয়ারি সোহেল মিয়া ‘মালি’ পদে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগ দেন। কিন্তু এরপর থেকেই তিনি নিজের দায়িত্ব ফেলে জরুরি বিভাগে রোগীদের ড্রেসিং, সেলাই এমনকি এমসি সংক্রান্ত কাজেও যুক্ত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে এ ধরনের অনিয়ম ও অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে উঠে আসছিল।
ঘটনাটি জানাজানির পর স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই বলছেন, “একজন মালির পক্ষে চিকিৎসা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজে জড়িত থাকা চরম অনৈতিক। শুধু বদলি নয়, এ ঘটনার পূর্ণ তদন্ত হওয়া উচিত।”
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে আরও তদন্ত ও ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে এখন স্থানীয়দের নজর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের দিকে।
What's Your Reaction?






