ঢাবিতে পাঁচ ছাত্রী হলের ৫৮৩ শিক্ষার্থীর জন্য আপৎকালীন আর্থিক সহায়তা কর্মসূচি চালু

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি ছাত্রী হলের ৫৮৩ জন শিক্ষার্থীর জন্য প্রথমবারের মতো চালু হলো আপৎকালীন আর্থিক সহায়তা কর্মসূচি। এ কর্মসূচির আওতায় প্রতিমাসে প্রত্যেক শিক্ষার্থী সরাসরি তাদের ব্যাংক একাউন্টে ৩ হাজার টাকা করে সহায়তা পাবেন।
মঙ্গলবার (১ জুলাই ২০২৫) উপাচার্যের সভাকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন হলের ১০ জন ছাত্রীকে প্রতীকীভাবে এই সহায়তার অর্থ হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. এনামুল হক, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তৈয়েবুর রহমান।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন রোকেয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম, শামসুন নাহার হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. নাসরিন সুলতানা, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মাহবুবা সুলতানা, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আলেয়া বেগম, কবি সুফিয়া কামাল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ছালমা নাছরীন, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদ, ছাত্রী প্রতিনিধি উমামা ফাতেমা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, “এই সহায়তা আপৎকালীন উদ্যোগ হিসেবে চালু করা হয়েছে। আমাদের শিক্ষার্থীদের প্রায় ৫৩ শতাংশই ছাত্রী, কিন্তু তাদের জন্য রয়েছে মাত্র ৫টি আবাসিক হল। ঢাকায় আত্মীয়স্বজন না থাকায়, আর্থিক ও মানসিকভাবে তারা নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়। সেই বিবেচনায় সীমিত সামর্থ্যেও আমরা চেষ্টা করছি শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে।”
তিনি আরও বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান। এর সাফল্য যেমন দেশের, তেমনি সীমাবদ্ধতাও জাতীয়ভাবে বোঝা উচিত। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট ঘাটতি ৫১ কোটি টাকা হলেও আমরা চাই ভবিষ্যতে এ সহায়তা আরও বিস্তৃত হোক। এজন্য আমি সমাজের সামর্থ্যবান, অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনসহ সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।”
ছাত্রীদের আবাসন সংকট প্রসঙ্গে উপাচার্য জানান, চীনের অর্থায়নে একটি নতুন ছাত্রী হল নির্মাণের কার্যক্রম চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। শিগগিরই এর নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
এ ছাড়া একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা একটি বৃহৎ প্রকল্পে ৪টি ছাত্রী হল ও ৫টি ছাত্র হল নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে শিক্ষার্থীদের আবাসন সমস্যা অনেকটাই লাঘব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বস্তি ও আশার সঞ্চার করেছে বলে জানান অংশগ্রহণকারী ছাত্রী প্রতিনিধিরা।
What's Your Reaction?






