কুবিতে সাংবাদিকদের ওপর ছাত্রদলের হামলা, জড়িতদের শাস্তির দাবিতে সাংবাদিকদের স্মারকলিপি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) কর্মরত সাংবাদিকদের ওপর ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ পেশ করেছেন বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধি। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর এ বিষয়ে একটি স্মারকলিপি জমা দেন তারা।
স্মারকলিপি অনুযায়ী, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত কনসার্ট চলাকালে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের খবর সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালানো হয়।
স্মারকলিপিতে অভিযোগ করা হয়, সংঘর্ষে জড়িত দুই শিক্ষার্থীকে আশ্রয় দিয়ে নিরাপদে সরিয়ে দেন কুবি শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান শুভ। এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি দৈনিক কালবেলা'র প্রতিনিধি আবু শামাকে ধাক্কা দেন। এরপর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাফায়েত সজল সাংবাদিকদের জোরপূর্বক পেছনে সরিয়ে নিতে থাকেন।
এ সময় ছাত্রদলের কর্মী সাইফুল মালেক আকাশ (বাংলা-১৫), জহিরুল ইসলাম জয় (ইংরেজি-১৬), এবং মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী তাওহিদ রহমান সাকিব ও তাহমিদ তাজওয়ারসহ ২০-২৫ জনের একটি দল "সাংবাদিকদের আগে মারো" স্লোগান দিতে দিতে সাংবাদিকদের গোলচত্বরের দিকে ধাওয়া করে।
এই ঘটনায় দৈনিক সংবাদ'র প্রতিনিধি চৌধুরী মাছাবিহ্, কালবেলা'র প্রতিনিধি আবু শামা এবং দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস'র প্রতিনিধি আকাশ আল মামুন শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হন। ভিডিও ধারণের সময় সাংবাদিক সাইফুল মালেক আকাশ এক সহকর্মীর হাত থেকে মোবাইল ফোন ছুড়ে ফেলে দেন বলেও স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যেখানে রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ, সেখানে ছাত্রদলের এমন কর্মকাণ্ড শুধু সাংবাদিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলাই নয়, এটি মুক্ত সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম চর্চার ওপর সরাসরি হুমকি। ফলে দোষীদের দ্রুত শনাক্ত করে যথাযথ প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. আবদুল হাকিম বলেন, “আমরা সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে একটি স্মারকলিপি পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে আলোচনা করে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”
What's Your Reaction?






