ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে শাটডাউন কর্মসূচি

সমন্বিত একাডেমিক ও পরীক্ষা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে শাটডাউন কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। সোমবার (২৬ মে) সকাল ১১টা ২০ মিনিটে কলেজ ক্যাম্পাসে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোঃ খালেদ সাইফুল্লাহর সভাপতিত্বে আয়োজিত কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আমানুল্লাহ খান, ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মুজাহিদুল ইসলাম ও নাজমুল ইসলাম, দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী দ্বীপরাজ কুন্ডু এবং তানভীর আহমেদ। কর্মসূচিতে কলেজের অন্যান্য সাধারণ শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করেন।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে শিক্ষার নামে প্রহসন চলছে। শিক্ষার্থীদের সিলেবাস বহির্ভূত প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় এবং সেমিস্টার চলাকালেই অনেক সময় ফলাফল প্রকাশ করা হয়, যা শিক্ষার্থীদের জন্য মানসিক চাপ ও জটিলতা তৈরি করে। তাঁরা আরও বলেন, আমাদের সহপাঠী ধ্রুবজিত কর্মকারের মর্মান্তিক আত্মত্যাগ যেন আর কোনো শিক্ষার্থীর জীবনে পুনরাবৃত্তি না ঘটে। এমন পরিস্থিতি বন্ধ করতে হলে পরীক্ষার স্বচ্ছতা ও মনোনয়ন নিশ্চিত করতে হবে।
বক্তারা জানান, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ডিপার্টমেন্টভিত্তিক শাটডাউন কর্মসূচি কম্বাইন সিস্টেম বাতিল না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। কর্মসূচি শেষে কলেজের সকল বিভাগের গেট তালাবদ্ধ করে দেওয়া হলেও প্রশাসনিক ভবন খোলা রয়েছে এবং সেখানে কার্যক্রম চলমান আছে।
শিক্ষার্থীরা এ সময় ৯ দফা দাবি উত্থাপন করেন এবং তা অবিলম্বে কার্যকর করার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানান। দাবিগুলো হলো: (১) স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি বিভাগের জন্য আলাদা পরীক্ষা কমিটি গঠন করতে হবে; (২) কমিটি চার সদস্যবিশিষ্ট হতে হবে এবং সকল সদস্য বিভাগীয় হতে হবে; (৩) ১৪ সপ্তাহ শ্রেণিকাল শেষ হওয়ার পর ১৪ দিনের প্রস্তুতি রেখে পরীক্ষা এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা এক সপ্তাহে সম্পন্ন করতে হবে; (৪) প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও উত্তরপত্র মূল্যায়নে বিভাগীয় দুইজন শিক্ষককে নিযুক্ত করতে হবে; (৫) প্রশ্নের মান ও স্বচ্ছতা পরীক্ষা কমিটি নিশ্চিত করবে; (৬) কোর্স শিক্ষককে নির্ধারিত সময়ে সিলেবাস শেষ করতে হবে এবং প্রশ্ন পাঠ্যসীমার মধ্যে রাখতে হবে; (৭) প্রশ্নের মডারেশন নিশ্চিত করতে হবে; (৮) ট্যাবুলেশন ও ফলাফল দ্রুত প্রকাশ করতে হবে; (৯) রিটেক ও ইমপ্রুভমেন্ট পরীক্ষার পদ্ধতি সহজ করতে হবে।
শিক্ষার্থীরা জানান, দাবিগুলো মেনে নেওয়া না হলে আন্দোলন আরও কঠোর হবে এবং শাটডাউন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
What's Your Reaction?






