ডেঙ্গু ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডে ডিএনসিসির বিশেষ মশক নিধন অভিযান শুরু

মোঃ শামীম আহমেদ, স্টাফ রিপোর্টার, ঢাকাঃ
Jul 2, 2025 - 17:35
 0  2
ডেঙ্গু ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডে ডিএনসিসির বিশেষ মশক নিধন অভিযান শুরু

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী ডেঙ্গু আক্রান্তের জন্য চিহ্নিত উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডসমূহে “অপারেশন ক্লিন টুডে: সেফ টুমোরো” শীর্ষক বিশেষ সমন্বিত মশক নিধন অভিযান শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।

বুধবার (২ জুলাই) সকালে মিরপুর-১, পাইকপাড়া সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী স্টাফ কোয়ার্টারে ডিএনসিসির স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতা বিভাগের উদ্যোগে তিনদিনব্যাপী এই কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান এবং প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী। তারা উপস্থিত এলাকাবাসীকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতন থাকার আহ্বান জানান।

ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন সম্মিলিত সচেতনতা। সবাই মিলে একসাথে কাজ করলে এই রোগ প্রতিরোধ সম্ভব। তিনি জানান, বিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের এডিস মশার উৎপত্তিস্থল সম্পর্কে সচেতন করা হচ্ছে যেন তারা নিজ নিজ বাসায় পরিত্যক্ত পাত্রে পানি জমিয়ে না রাখে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও আইইডিসিআর-এর জুন ২০২৫-এর প্রতিবেদনে ডিএনসিসির আওতাধীন ওয়ার্ড নং ০২, ০৮, ১২, ১৩, ২২ ও ৩৪-এ এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব বেশি পাওয়ায় এলাকাগুলোকে ডেঙ্গু আক্রান্তের জন্য উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কীটতাত্ত্বিক জরিপ অনুযায়ী এসব ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডে আজ থেকে সমন্বিতভাবে লার্ভা ও উড়ন্ত মশা নিধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

এই অভিযানে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি, সিডিসি ও ডিএনসিসির কীটতত্ত্ববিদ, এনজিও, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং স্থানীয় বাসিন্দারা একসাথে কাজ করছেন।

অভিযানের আওতায় এডিস মশার প্রজননস্থল অপসারণ, লার্ভিসাইডিং, ফগিং, জনসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ, মাইকিং, সতর্কতামূলক নোটিশ প্রদান এবং মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।

অভিযান শেষে সিডিসি ও ডিএনসিসির কীটতত্ত্ববিদদের তত্ত্বাবধানে ‘কর্মসূচি-পরবর্তী কীটতাত্ত্বিক জরিপ’ পরিচালিত হবে, যাতে কার্যক্রমের সফলতা মূল্যায়ন এবং পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা যায়।

ডিএনসিসি আশাবাদ ব্যক্ত করেছে, এই ধরনের সমন্বিত উদ্যোগ নগরবাসীর সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow