ক্যাম্পাসে লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি বন্ধে কঠোর প্রশাসন

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরে (বেরোবি) লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের ২৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ১০৮তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ক্যাম্পাসে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, আবাসিক হলে সিট বাণিজ্যসহ সমাজ ও রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ড বরদাশত করা হবে না। প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, “বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর-এর নাম ব্যবহার করে লেজুড়বৃত্তিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ থাকবে।”
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কেউ যদি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির চেষ্টা চালায়, তবে প্রমাণ সাপেক্ষে তাকে আজীবন বহিষ্কারসহ ছাত্রত্ব বাতিলের মতো শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থাও নেয়া হতে পারে।
এরই মধ্যে প্রশাসন ক্যাম্পাসে সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। অভিযোগ পাওয়ার পর ওই কমিটি তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে করণীয় সম্পর্কে সুপারিশ প্রদান করবে।
প্রশাসনের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করা হচ্ছে।”
বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে ইতোমধ্যেই প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ এই উদ্যোগকে প্রশংসনীয় বললেও কেউ কেউ এটি মত প্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থী বলেও মন্তব্য করছেন। তবে প্রশাসন জানিয়েছে, তারা কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার না করে নিয়মশৃঙ্খলার প্রশ্নে কঠোর অবস্থান বজায় রাখবে।
What's Your Reaction?






