নোয়াখালীতে জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগ, তিন দিনের জন্য বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা

গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে পানিতে ডুবে গেছে নোয়াখালীর বেশিরভাগ এলাকা। ফলে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম। জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১০ জুলাই থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য ক্লাস বন্ধ থাকবে, তবে শিক্ষকরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকবেন।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার উপর দিয়ে ২২৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে করে পানির স্তর বেড়ে গেছে ১৯ সেন্টিমিটার। যদিও এখনো পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে, তবে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ।
বিশেষ করে সদর, কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাট এবং সুবর্ণচর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। মুছাপুর, রামপুর ও চর এলাহী ইউনিয়নের ফেনী ও বামনী নদীর তীরবর্তী অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে জোয়ার ও বৃষ্টির পানিতে। এসব এলাকার রাস্তাঘাট, বাড়িঘর, এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও পানির নিচে।
জেলা শহর মাইজদীও রয়েছে পানির কবলে। শহরের স্টেডিয়াম পাড়া, ডিসি সড়ক, হাউজিং, হরিনারায়ণপুরসহ অধিকাংশ এলাকার নিচু ঘর ও সড়কে হাঁটু পরিমাণ পানি জমে রয়েছে। চলমান বর্ষায় সড়কে সৃষ্টি হওয়া খানাখন্দ বিপদজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য।
জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ জানান, দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রত্যেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সতর্ক থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে স্কুলগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহারের প্রস্তুতি রয়েছে।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হালিম সালেহী বলেন, ‘‘টানা বৃষ্টিই জলাবদ্ধতার মূল কারণ। বৃষ্টি বন্ধ হলেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।’’ তিনি জানান, বুধবার রাতের বৃষ্টির পর অবস্থা কোন দিকে মোড় নেয়, তা নির্ভর করছে প্রকৃতির উপর।
What's Your Reaction?






