রাস্তা ও পানি নিষ্কাশনের ড্রেন বন্ধ করে বিল্ডিং নির্মাণ করায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে দুই শতাধিক পরিবার

এমএ কাইয়ুম মাইজভাণ্ডারী, ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জঃ
Jul 2, 2025 - 17:11
 0  11
রাস্তা ও পানি নিষ্কাশনের ড্রেন বন্ধ করে বিল্ডিং নির্মাণ করায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে দুই শতাধিক পরিবার

একদিকে টানা বৃষ্টি, অন্যদিকে সরকারি রাস্তা ও পানি নিষ্কাশনের ড্রেন দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে স্থায়ী বিল্ডিং। ফলে জলাবদ্ধতায় স্থবির হয়ে পড়েছে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের কবুতরখোলা গ্রামের জনজীবন। অন্তত দুই শতাধিক পরিবার এই অবৈধ দখলের কারণে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে। কোমলমতি শিক্ষার্থী, অসুস্থ রোগী কিংবা দিনমজুর প্রতিদিন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে সবার চলাচল।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ভাগ্যকুল ইউনিয়নের মান্দ্রা সংলগ্ন পদ্মা নদী থেকে রেকর্ডভুক্ত একটি খাল কবুতরখোলা হয়ে আড়িয়া বিলে গিয়ে মিশেছে। কালের বিবর্তনে খালটি ভরাট হয়ে গেলে খালের নিচ দিয়ে পানি চলাচলের ড্রেন এবং উপর দিয়ে পাকা রাস্তা নির্মাণ করে দেয় সরকার। কিন্তু সম্প্রতি ইয়াছিন বেপারী, আমির বেপারী ও হাশেম বেপারী নামের তিন প্রভাবশালী ব্যক্তি রাস্তা ও ড্রেন দখল করে বসতবাড়ি নির্মাণ শুরু করেন।

স্থানীয়দের লিখিত অভিযোগের পর প্রশাসন সরেজমিন তদন্ত করে রাস্তা ও ড্রেন দখলের বিষয়টি নিশ্চিত করে এবং দখলকারীদের স্থাপনা সরাতে নোটিশও পাঠায়। তবুও দখল ছাড়েননি অভিযুক্তরা।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইয়াছিন বেপারী বলেন, “শুধু আমি না, আরও অনেকেই এই জায়গা দখল করে স্থাপনা করেছে। এসিল্যান্ড অফিস আমাকে নোটিশ দিয়েছিল, আমি জবাব দিয়েছি। সবাই যদি দখল ছাড়ে, আমিও ছাড়ব।”

ভাগ্যকুল ইউনিয়নের সহকারী তহসিলদার মাহফুজ জানান, “সরেজমিনে মাপজোক করে সরকারি জমি দখলের প্রমাণ পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে উচ্ছেদ কার্যক্রমের জন্য ফাইল ডিসি অফিসে প্রেরণ করা হয়েছে।”

এদিকে, দ্রুত উচ্ছেদ ও রাস্তা-ড্রেন পুনরুদ্ধারের দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী। তাদের অভিযোগ, দখলদারদের প্রভাবের কারণে বারবার প্রশাসনিক উদ্যোগও ব্যাহত হচ্ছে। পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে বর্ষা মৌসুমে পুরো গ্রাম কার্যত পানির নিচে ডুবে যাবে বলেও আশঙ্কা তাদের।

জনস্বার্থে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না হলে জলাবদ্ধতার পাশাপাশি এলাকায় মানবিক সংকট দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow