উচ্চ আদালতের নির্দেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চেম্বার ভবনসহ দুটি স্থাপনা উচ্ছেদ

উচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়নে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মসজিদ রোড এলাকায় জেলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ভবনসহ দুটি স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে প্রশাসন। এ অভিযানে হিন্দু সম্প্রদায়ের বেদখল হয়ে থাকা প্রায় ২৫ শতক জমি পুনরুদ্ধার করা হয়।
বুধবার (৯ জুলাই) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জাবীন। অভিযানে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরাও অংশ নেন।
জানা যায়, শহরের মসজিদ রোড এলাকার অর্পিত সম্পত্তির ২৪.৮৯ শতক জায়গা ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্সসহ কয়েকজন ব্যক্তি বরাদ্দ পান। ২০১২ সালে লীলাময় ভট্টাচার্য নামের একজন নাগরিক ওই জায়গার মালিকানা দাবি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। ২০১৬ সালে জেলা জজ আদালত তার পক্ষে রায় দেন।
সরকার পক্ষ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করলেও ২০১৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি আপিল ট্রাইব্যুনাল পূর্বের রায় বহাল রাখে এবং জায়গা হস্তান্তরের নির্দেশ দেয়। এর ফলে চূড়ান্তভাবে জেলা প্রশাসনের অনুকূলে আর কোনো আইনি প্রতিকার থাকেনি।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের ২০১৮ সালের পরিপত্র, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ আইন ২০০১-এর ধারা এবং সুপ্রিম কোর্টের কোনো স্থগিতাদেশ না থাকায় রায় বাস্তবায়নে প্রশাসনের সামনে আর কোনো বাধা ছিল না বলে সরকারি কৌসুলির মতামতে বলা হয়।
বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে ব্যবসায়ীদের মালামাল সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেয়। পরে চেম্বার ভবনসহ দুটি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
নির্মল ভট্টাচার্য, যিনি জায়গাটির বর্তমান মালিক, জানান, “এটি আমাদের পূর্বপুরুষের জমি ছিল। অর্পিত সম্পত্তি আইনের মাধ্যমে এটি পুনরুদ্ধার করেছি। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর জায়গা ফেরত পেয়েছি।”
এদিকে, উচ্ছেদের সময় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভবনে থাকা দোকানদাররা। তারা অভিযোগ করে বলেন, “আমাদেরকে কোনো নোটিশ দেয়া হয়নি। চেম্বারও আমাদের কিছু জানায়নি।”
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জাবীন বলেন, “উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।”
What's Your Reaction?






