সরকারি খাল দখল করে ব্যক্তিগত স্থাপনা নির্মাণ, প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

সাবাই মারমা, মহালছড়ি প্রতিনিধি, খাগড়াছড়িঃ
May 27, 2025 - 22:49
 0  4
সরকারি খাল দখল করে ব্যক্তিগত স্থাপনা নির্মাণ, প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

মহালছড়ি বাস টার্মিনাল এলাকায় সরকারি খাল ভরাট করে অবৈধভাবে ব্যক্তিগত স্থাপনা নির্মাণের ঘটনায় এলাকাজুড়ে চরম ক্ষোভ ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। পরিবেশগত ঝুঁকি উপেক্ষা করে বাঁশ ও কাঠের খুঁটিতে নির্মিত টিনের ঘর খালের স্বাভাবিক পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে স্থানীয়দের পক্ষ থেকে।

দীর্ঘদিন ধরে কৃষিকাজ ও পানি নিষ্কাশনের জন্য ব্যবহৃত এই খাল বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত। স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, খালটি দখল হওয়ায় আগামী মৌসুমে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হতে পারে। একাধিকবার উপজেলা প্রশাসনের দপ্তরে অভিযোগ জানানো হলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না পাওয়ায় হতাশ হয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা গণমাধ্যমে মুখ খুলেছেন।

স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, “এখানে সরকারি জমি দখল করাই যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।” অভিযোগ রয়েছে, কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি খাস ফ্রিন্চল্যান্ডের ধান্যজমি রাতের আঁধারে ব্যক্তিমালিকানা দাবি করে বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। অথচ সরকারিভাবে ধান চাষের জমিতে স্থাপনা নির্মাণ নিষিদ্ধ।

এ ঘটনায় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিবেশবাদী ও সচেতন নাগরিকরা। তাদের মতে, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী খাল বা জলাধার দখল করা সম্পূর্ণ অবৈধ, কিন্তু প্রশাসনের নজরদারি ও কঠোর উদ্যোগের অভাবে এক শ্রেণির প্রভাবশালী ব্যক্তি বছরের পর বছর ধরে এমন অবৈধ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে পরিবেশ সচেতন মহল অবিলম্বে এই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছে। পাশাপাশি দখল হয়ে যাওয়া খাল ও ফ্রিন্চল্যান্ডের ধান্যজমি উদ্ধারেরও দাবি জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহালছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, তিনি সদ্য উপজেলায় যোগ দিয়েছেন। তবে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।

এলাকাবাসীর দাবি, অবিলম্বে খালের স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে এনে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করুক প্রশাসন।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow